ফিটনেস যেভাবে বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সুগম করছে
নারীর স্বাস্থ্য এবং শরীর সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যান ধারণা ভেঙে দেয়ার মিশনে নেমেছেন সুমাইয়া আক্তার সুমি। বাংলাদেশের এই লাইফস্টাইল এবং ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নারীদেরকে তাদের শরীর সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছেন। তার দেখাদেখি অনেকে নারী শুরু করেছেন জিমে যাওয়া।
ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার সুমাইয়া আক্তার সুমি নারীর সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতে ফিটনেস বাড়ানোর প্রচারণা চালান। সোশ্যাল মিডিয়া তার আয়ের উৎস। বাংলাদেশে প্রতি দশজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সাতজনই বডি শেমিংয়ের শিকার।
রক্ষণশীল গ্রামে বড় হওয়া সুমির ভিডিও আবার অনেকের পছন্দও নয়। তিনি বলেন,‘তারা মনে করেন, একজন মেয়ে মানুষ এ ধরনের কাপড় (ইয়োগা স্যুট) পরে রাস্তায় বের হওয়া বা ওয়ার্কআউট করা আসলে সামাজিক দৃষ্টিতে অনেক খারাপ। এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা মনে হয়েছিল এ ধরনের কর্মকাণ্ডে [ফিটনেসে] নিজেকে সম্পৃক্ত করার সময়।’
সুমি তাতে দমে যাননি। স্বাধীন থাকতে একাধিকবার বাসা বদলেছেন, কিন্তু ফিটনেস ভিডিও তৈরি করে গেছেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক অনুসারী তার।
তিনি বলেন, ‘(ওয়ার্কআউট শুরুর পর) আমাকে অনেকেই এসে বলেছেন যে আপু আমি আসলে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি এনার্জেটিক ফিল করি, আমার কাজ করতে ভালো লাগে, আগের থেকে আমি মানসিকভাবে অনেক বেশি সুস্থতা অনুভব করছি।’
সুমির কাছে ফিটনেস হচ্ছে স্বাধীনতা যার স্বাদ তিনি অন্য নারীদেরও দিতে চান।

ডয়চে ভেলে