আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ঢাকাস্থ ১৫টি কূটনৈতিক মিশন। এক বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে। 

প্রকাশিত বিবৃতিটি অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন, বৃটিশ হাইকমিশন, কানাডিয়ান হাইকমিশন, ডেনমার্ক দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন, ফ্রান্স দূতাবাস, জার্মান দূতাবাস, ইটালির দূতাবাস, জাপান দূতাবাস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, নরওয়ে দূতাবাস, স্পেন দূতাবাস, সুইডিশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের যৌথভাবে দেওয়া।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের মৌলিক ভূমিকাকে তুলে ধরতে চাই।’

আরও বলা হয়, ‘আমরা মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে সংরক্ষিত স্বাধীনতা উদযাপন করি এবং ঘোষণাপত্রে বর্ণিত বিভিন্ন অঙ্গীকারের মধ্যে স্বাধীন মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরি। অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ, সমতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনুসরণীয় মূল্যবোধ ও নীতি হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক শাসনকে সমর্থন ও উৎসাহিত করি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে এদেশের সাফল্যকে আরও উৎসাহিত করতে আগ্রহী এবং মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি।’