অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ সড়কে প্রাণ হারালেন চিকিৎসক ডা. বাসুদেব সাহা। মা জানেন না তাঁর নিহতের খবর। নির্বাক বাবা। মা অসুস্থ থাকায় শোকের এমন মুহূর্তে বেদনার কান্না বুকে কবর দিয়েছেন যেন।

বাবা-মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে আজ শনিবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যায় ছুটে  গোপালগঞ্জে ছুটে যান ইন্টার্ন ডাক্তার শর্মিলা সাহা। সেখানে রাতে শ্মশানে গিয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নেন তিনি। সবাইকে হারিয়ে এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শর্মিলা।

নিহত ডা. বাসুদেব সাহার বড় ভাই জয়দেব সাহা এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানান।

জয়দেব সাহা জানান, তাঁদের মায়ের অসুস্থতার খবরে মা’কে দেখতেই পরিবার নিয়ে সকালে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন বাসুদেব। আসার পথে ফেরিতে উঠে পরিবার নিয়ে সেলফি তুলে তিনি তাঁর ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দেন। দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ তাঁর সঙ্গে কথা হয়। এরপর সব শেষ হয়ে যায়। সড়কে প্রাণ হারান তিনি।

জয়দেব আরও জানান, বাড়িতে তাঁর অসুস্থ মায়ের কথা ভেবে এ দুর্ঘটনার কথা এখনও তাঁকে জানানো হয়নি। বাড়ির লোকজনও কাঁদতেও পারছে না।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় বাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। আহতদের ১২ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিহতদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক বাসুদেব সাহা (৫৫), তাঁর স্ত্রী শিবানী সাহা (৪৫) ও ছেলে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্বপ্নীল সাহাসহ (২০) অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী অনিক মোল্যা (২৯) ও আফসান মীম (২০), বাসের যাত্রী আলতাফ হোসেন খান (৫০), ধান মাড়াইরত ফিরোজ মোল্যা (৫০), তাঁর স্ত্রী রুমা বেগম (৪৫)।