‘আমরা এখন দালালির নামটা মুছতে চাই’
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ও সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী অনেক দুঃখ করে বলেছেন—আমরা ভালো কাজের প্রশংসা করি না। কিন্তু, মাননীয় স্পিকার—কথাটা সঠিক নয়।’
জাতীয় সংসদে আজ শনিবার এক বক্তব্যে জাপার মহাসচিব এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘(মাননীয় স্পিকার) পার্লামেন্টে দেখবেন—আমার এলাকায় যে রাস্তা হয়েছে বা উন্নয়ন হয়েছে, আমি তা এ সংসদে কয়েক বার বলেছি। শুধু বলেছিই নয়, এত বার বলছি—বলতে গিয়ে পাবলিক আমাদের দালাল বলে। আর কত বলব? আমরা এখন দালালির নামটা মুছতে চাই। এর পরেও যদি আপনাদের মন না ভরে, আর তো কিছু করার নেই।’
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘এ সরকার অনেক কাজ করেছে কোনো সন্দেহ নেই। আমার এলাকায়ও অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু, অতীতে যারা ছিল বা আমরা ছিলাম—আমরাও কিছু করেছি, করিনি যে তা নয়। বগুড়া ও রংপুরে প্রথম হাইওয়ে আমরা করেছি।’
‘শুধু তাই নয়। আপনারা অনেক ব্রিজ করেছেন। কিন্তু, আমি খুশি হতাম—মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী... তাঁর বাড়ি নোয়াখালী। তিনি যদি বলতেন—মেঘনার প্রথম ব্রিজটা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ করেছিলেন, যে ব্রিজে উনি যাতায়াত করেন। কিন্তু উনি তা বলেননি’, যোগ করেন মুজিবুল হক চুন্নু।
এ সময় সাংসদদের অনেকে বলে ওঠেন, ‘ভেঙে গেছে।‘
তখন জাপার মহাসচিব হাসিমুখে বলেন, ‘আপনারা এত গেছেন (যাতায়াত করেছেন), আপনাদের চাপে তাই ভেঙে গেছে।’
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘রোকেয়া সরণি এরশাদ করেছেন। বিজয় সরণি, সায়েদাবাদ ব্রিজ এরশাদ করছেন। আমরাও খুশি হব—আমরা কিছু করেছি—এটা (যদি) আপনারা বলেন।’
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আপনারা যদি চান বিরোধী দল আপনাদের প্রশংসা করবে, এটা মনে হয় ঠিক নয়। বিরোধী দলের কাজ সরকারে কী কী ফল্ট আছে, তার সমালোচনা করা।’
এ সময় মুজিবুল হক চুন্নু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি প্রমাণ দেখাতে পারব—সংসদ সদস্যদের সিগন্যালে আটকিয়ে রেখে, ট্রাফিক মোড়ে আধঘণ্টা... ১০ মিনিট বন্ধ রেখে পুলিশের কমিশনারকে পার করে। আপনি কাকে বলছেন—আমাদের? ওদের বলুন। সাংবিধানিক লোক দাঁড়িয়ে আছেন, (আর) আইজি সাহেব চলে যাচ্ছেন। কোনো মন্ত্রী গেলেও রাস্তা এভাবে ক্লিয়ার করা হয় না। কিন্তু, একজন আইজি গেলে ওয়্যারলেসে সবখানে খবর হয়ে যায়। আমরা চাই না আমাদের জন্য পাবলিক কষ্ট করুক। কিন্তু, কোনো আমলার জন্য পাবলিকের কষ্ট হোক, সেটাও চাই না।’
পরে সংসদে দাঁড়িয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনা করবেন না—এটা আমি বলিনি। আমি বলছি—গঠনমূলক সমালোচনা করুন, যেখান থেকে আমরা শিখতে পারি।’