ইউক্রেনে আটকে পড়া ২৮ নাবিক ফিরলেন ঢাকায়
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক ঢাকায় ফিরেছেন। টার্কিস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট টিকে ৭২২ তাঁদেরকে নিয়ে আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে।
এ ছাড়া ইউক্রেনে রাখা জাহাজটি থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নাবিকরা নিরাপদে দেশে ফিরেছেন বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দেশে ফেরা এই নাবিকদের শারীরিক চেকআপ করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ। এরপর ইমিগ্রেশন শেষে তাঁরা নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার রাত পৌনে দুইটায় ফ্লাইটিতে দেশের উদ্দেশে রওনা হন নাবিকরা। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে রোমানিয়া পৌঁছান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুপুর ১২ টার দিকে ২৮ নাবিক নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছেন। ইউক্রেনে রাখা জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।
এর মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি আটকে পড়ে। গত ২ মার্চ জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।
পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর আজ তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো।