কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎহীন মোংলাবন্দর, পৌর শহর
দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস ধরে চলা মৃদু ও তীব্র দাবদাহের মধ্যে হঠাৎ মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। এর আগে চলতি সপ্তাহেই দুদিন হাল্কা বৃষ্টি হলেও তাতে ভিজেনি রাস্তার ধুলাবালিও।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় নামে ঝুম বৃষ্টি। শুরু ঝড়ো বাতাস। বাতাসে এক ধরনের ধুলো ঝড়ে মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। জনমানুষ শূন্য হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট। পৌনে ৬টায় শুরু হওয়া এ ঝড়-বৃষ্টি চলে ঘণ্টাখানেক সময় ধরে। এতে পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
ঝড়ের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু কোনো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত বা কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিজ নিজ এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আকাশ মেঘলা হতেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড়-বৃষ্টিতে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোংলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে সন্ধ্যা থেকে এক ধরনের ভূতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বন্দর ও পৌর শহরজুড়ে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে পিডিবির মোংলার আবাসিক প্রকৌশলী এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আকস্মিক ঝড়ে স্থায়ী বন্দরের ইপিজেড এলাকায় বিদ্যুতিক তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি কমলে ডালপালা সরিয়ে তার মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। তবে তাতে কেমন সময় লাগতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এদিকে মৌসুমের প্রথম ঝড়-বৃষ্টির বিষয়ে ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (আবহাওয়াবিদ) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি বয়ে গেছে। এমন ঝড়-বৃষ্টি এখন প্রায়ই হব।’
শুক্রবার থেকে তাপদাহ প্রশমিত হয়ে যাবে বলেও জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।