কুড়িগ্রামে ইউপি সদস্যের প্রতিবন্ধী ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্যের প্রতিবন্ধী ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় নিহত যুবকের মা ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে প্রতিবেশী মো. কাজল খান কাশেম নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচ্চির গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত যুবক জাহিদ হাসান (১৮) প্রতিবন্ধী। ওই ঘটনায় আহত জাহিদ হাসানের মা অলিনা বেগম (৪৮) ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত কাশেম একই গ্রামের সাইফুল হকের ছেলে।
কুডিগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় কাউন্সিলর অলিনা বেগমের বাড়িতে এলাকার এক নারী ও তাঁর মেয়ে ত্রাণ চাইতে আসেন। এরপর অলিনা বেগমের বাড়ির সামনে প্রতিবেশী কাশেমের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় ত্রাণ নিতে আসা নারী ও তার মেয়ের সঙ্গে অলিনা বেগমের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আগে থেকে কাশেমের সঙ্গে তাঁর রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তাদের কথা কাটাকাটি শুনে প্রতিবেশী কাশেম বাড়ি থেকে মনে করে অলিনা বেগম রাস্তার দ্বন্দ্বের জের ধরে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে গালাগালি দিচ্ছেন।
এরপর কাশেম বাড়ি থেকে একটি ইউক্লিপটাস গাছের ডাল নিয়ে এসে অলিনা বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে অলিনা বেগমের মাথা, নাকে, পিঠে গুরুতর জখম হয়। পরে অলিনা বেগম মাটিতে পড়ে গেলে তাকে রক্ষার জন্য তার প্রতিবন্ধী ছেলে জাহিদ হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর কাশেম তার হাতে থাকা ইউক্লিপটাস গাছের ডাল দিয়ে জাহিদ হাসানের মাথা, বুক ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। একটি আঘাত জাহিদের মাথার টিউমারে লেগে টিউমারটি ফেটে গুরুতর জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা অলিনা ও তার ছেলে জাহিদকে নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে গেলে সকাল ১০টার দিকে জাহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
গুরুতর আহত অলিনা বেগম কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, এরই মধ্যে মূল আসামি কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।