জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর যে সহিংসতা হয়েছে সে ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে, তার জন্য আমরা সংস্কার করেছি। জনগণ কী চায় আমরা সেটাই করেছি। নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেটার ব্যবস্থা করেছি। আমরা জনগণের ভোট-নির্বাচন জনগণের হাতে দিয়েছি। এখন সেটা রক্ষা করা আমার একার দায়িত্ব নয়, সবার দায়িত্ব। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই।’
আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে বিএনপির নেতৃত্ব জোট ৩০ আসন পেয়েছিল। আর এখনতো আমরা উন্নয়নের রোল মডেল করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছি। আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে ছিল, আওয়ামী লীগই প্রথম নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিশনকে স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাদের নির্ভরশীলতা সরানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাধীন করে দিয়েছি। তাদের পুরোপুরি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে দিয়েছি।
ইভিএম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইভিএম নিয়ে ওদের আপত্তি, তাই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ওরা যতটুকু ভালো বুঝে তাই করবে। কারণ, কমিশনকে অবাধ স্বাধীনভাবে গড়ে তুলেছি। জনগণকে ভোটের অধিকার দিয়েছি, তারা যাকে খুশি ভোট দেবে। একটানা ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার পরিচালনা করছি। দেশে স্থিতিশীলতা রাখতে পেরেছি। এর মধ্যেও কিছু অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু এত দীর্ঘ সময় ছিলাম, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে কেমন হয়, তা আমরা প্রমাণ করে দেখিয়েছি। এর মধ্যে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে। এগুলো মোকাবিলা করে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। মানুষের প্রতি যে কমিটমেন্ট আমাদের ছিল, সে জায়গায় অনঢ় ছিলাম বলেই উন্নয়ন করতে পেরেছি।