নওগাঁয় স্ত্রীকে মাথার চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী কারাগারে
নওগাঁয় স্ত্রীকে মরধর করে মাথার চুল কেটে ফেলেন স্বামী আব্দুল কুদ্দুস (৩৩)। মান্দা কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোটমুল্লুক আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আব্দুল কুদ্দুসকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে আব্দুল কুদ্দুস রাজধানী ঢাকায় রিকশা চালিয়ে উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তান থাকত গ্রামে। গত ২৫ নভেম্বর কুদ্দুস গ্রামে যান। ওই রাতে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আবারও তিনি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে কাঁচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেন।
পরে আজ বুধবার সকালে ফের স্ত্রীকে মারধর করেন আব্দুল কুদ্দুস। সেখান থেকে পালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ সাহার কাছে যায় ওই গৃহবধু। এ ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আব্দুল কুদ্দুস। পরে তাঁকে ধরে পুলিশে দেন জনপ্রতিনিধিরা।
কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ সাহা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জানার পরেই গ্রাম পুলিশের সহায়তায় আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করে ভিকটিমসহ তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। পরে বিকেলের দিকে আব্দুল কুদ্দুসকে মান্দা থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।’
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ বিকেলেই অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’