পাকিস্তানি মদদপুষ্টদের অর্থায়নেই হেফাজতের তাণ্ডব : লেখক ভট্টাচার্য্য
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হেফাজতে ইসলাম তাণ্ডব চালিয়েছে। পাকিস্তানি মদদপুষ্টদের সরাসরি অর্থায়নে তারা এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। সারা দেশে যেখানেই তারা অরাজকতা চালাবে সেখানেই ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
আজ সোমবার সকালে নিজ জেলা যশোর সফরকালে এসব কথা বলেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য। সকাল ১১টার দিকে যশোর এসে পৌঁছান লেখক ভট্টাচার্য্য। এর আগে ছাত্রলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে শহরের দড়াটানা বকুলতলাস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা লেকককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পৌনে ১২টার দিকে লেখক ভট্টাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
লেখক ভট্টাচার্য্য আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্র ও তরুণ সমাজ আসলে খুব হতাশ। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বাংলাদেশকে খারাপভাবে বহির্বিশ্বে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। তারা ১৯৭৫-এ জাতির জনককে হত্যা করে বিশ্বের বুকে আমাদেরকে বিশ্বাসঘাতকের লেবাস লাগিয়ে দিয়েছিল। আজ যখন বহির্বিশ্বের সরকার প্রধানরা বাংলাদেশে আসছেন, তখনই হেফাজতিরা উঠেপড়ে লেগেছে। ১০ দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবকে ভণ্ডুল করতে ও বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে হেয় করতে তারা এসব করছে।’
লেখক আরও বলেন, একটি অগোছালো অবস্থায় ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এরপর করোনার কারণে সবকিছু থমকে যায়। কিন্তু ছাত্রলীগ বসে থাকেনি। মানবিক ও সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে সাধারণ জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যশোরে দুই বছর ধরে কমিটি নেই। তারপরও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটা ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার জন্য না, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের সেবার জন্য তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান শেষে লেখক যশোর পৌর নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশের পক্ষে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এরপর তিনি নিজ গ্রাম মণিরামপুরের যান।