পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র
পিরোজপুরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকেই থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে নদীগুলোতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ৬০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
তবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরচড় থেকে বয়স্ক মানুষ এবং নারী ও পুরুষদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান পিরোজপুরে আঘাত হানলে পিরোজপুরের কলা ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। পাশাপাশি এখনও অনেক কৃষক মাঠের বোরো ধান তুলতে পারেননি। ঘূর্ণিঝড়ে মাঠের ধানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাশাপাশি জেলার ২৩১ কিলোমিটার বেড়িবাধের মধ্যে বর্তমানে ৫ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় সেখান থেকে নদী তীরবর্তী অনেক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে প্রায় প্রতিবছরই উপকূলীয় এ জেলার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়। গত বছরের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণী এবং নভেম্বর মাসের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তেমন প্রভাব না পড়ায় অনেকের মধ্যে খুব একটা আতঙ্ক কাজ করছে না।