শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করায় চট্টগ্রামে গণপরিবহণে কর্মবিরতি
চট্টগ্রামে গণপরিবহণের পাঁচ শ্রমিককে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তারের জের ধরে শহর এলাকায় কর্মবিরতি শুরু করেছে গণপরিবহণ চালক-মালিক ঐক্য পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডাকা এ কর্মবিরতির কারণে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা থেকে গণপরিবহণ চলাচল না করার পাশাপাশি বাইরে থেকেও কোনো যাত্রীবাহী গণপরিবহণ ঢুকছে না। এর ফলে এসব এলাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে পাহাড়তলীর অলংকার মোড় এলাকায় চাঁদাবাজির সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের অভিযানের সময় আরও কয়েকজন চাঁদাবাজ পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—মো. আজাদ (৩৪), মো. অহিদ (৩৮), মো. আরিফ হোসেন (৩০), নারায়ণ দে (৫১) ও মো. সিদ্দিক হোসেন (৪৫)।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছারের দাবি, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম র্যাব-৭-এর একটি আভিযানিক দল পাহাড়তলীর অলংকার মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মো. আজাদ, মো. অহিদ, মো. আরিফ হোসেন, নারায়ণ দে ও মো. সিদ্দিক হোসেন নামের পাঁচজনকে আটক করা হয়। ওই সময় তাঁদের তল্লাশি করে চাঁদা আদায়ের ২১ হাজার ৮২০ টাকা জব্দ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা অবৈধভাবে কাভার্ডভ্যান, মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহণের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন।
এদিকে, গণপরিবহণ চালক-মালিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলমের দাবি, এর আগে মহানগরীর একাধিক স্থান থেকে প্রশাসনের লোকজন তাদের শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহণের লাইনম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তারা চাঁদাবাজ নন বলে দাবি করছেন গণপরিবহণ মালিক-শ্রমিকেরা।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এখন পর্যন্ত কোনো দাবি নিয়ে কেউ পুলিশ কমিশনারের কাছে যায়নি।