সালিশে যুবককে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
কুষ্টিয়ার মিরপুরে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের এ ঘটনা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিত যুবকের নাম মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)। তিনি উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. সেন্টুর ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান, সাইফুল নামের ওই যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ৩০টি বেত্রাঘাত করে স্থানীয় মালিহাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নওয়াব আলী। সেই বেত্রাঘাতের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে দিলে সেটি ভাইরাল হয়। আজ সোমবার দুপুরে ফেসবুকে সেই ভিডিও দেখে ইউপি সদস্য নওয়াব আলীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিরপুর থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
মিরপুর থানার পরিদর্শক আরও জানান, সাইফুলের সঙ্গে একই এলাকার এক গৃহবধূর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের পর সাইফুলকে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও ৩০টি বেত্রাঘাত করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনসন্মুখে বেআইনিভাবে সাইফুলকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে ৩০ বার আঘাত করে সেই ইউপি সদস্য। এতে করে সাইফুল আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, ফেসবুকে বেত্রাঘাতের ভিডিও দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য নওয়াব আলীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।