৯৯৯-এ ফোন করে উত্ত্যক্তকারীকে ধরিয়ে দিল কিশোরী
১৪ বছরের কিশোরী। নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে বিরক্ত করতেন জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক। ওই কিশোরীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে এবং শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইতেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু কিশোরী তাকে পাত্তা দিত না। ফলে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন জাহাঙ্গীর। তিনি কিশোরীর কিছু ছবি মুঠোফোনে এডিট করে অশ্লীল ছবির সঙ্গে যুক্ত করেন।পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী কিশোরী তার মুঠোফোন বন্ধ করে দিলেও লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে সাহস পায়নি। পরে জাহাঙ্গীর আরও দুদিন কিশোরীর বাসায় যান। সে সময় জাহাঙ্গীরের চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নিজেকে রক্ষা করে ওই কিশোরী। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে। এরপর গত সোমবার পুলিশ চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র গণমাধ্যম হিসেব পরিচিত ‘ডিএমপি নিউজ’ এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই নিউজ পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে গত সোমবার রাতে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুড়িং থানা পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের বরাত দিয়ে ডিএমপি নিউজ জানিয়েছে, ১৪ বছরের কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর প্রায়ই ভুক্তভোগীকে বিরক্ত করতেন, কথা বলতে চাইতেন। কিন্তু ভিকটিম তাকে পাত্তা দিত না। একদিন কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর গোপনে ঘরে ঢুকে পড়েন। এ সময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু অশ্লীল ছবি দেখায়। মূলত ভিকটিমের ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই অশ্লীল ছবি তৈরি করেন। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে জানা যায়।
পোর্টালটি ওসির বরাত দিয়ে আরও জানায়, জাহাঙ্গীর আলম এভাবে ওই কিশোরীকে বিরক্ত করতে থাকে। একই কায়দায় অর্থাৎ বাড়িতে কেউ না থাকায় দুদিন ওই কিশোরীর বাড়িতে যান জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীরের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রস্তুতি নেয় কিশোরী। দুদিনই জাহাঙ্গীরের চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। এরপরও থেমে থাকেনি কিশোরীকে বিরক্ত করা। দুদিন মরিচের গুঁড়ার ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে কিশোরীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। এরপর টিভিতে দেখে ও নানাভাবে জেনে ৯৯৯ এর প্রতি আস্থা তৈরি হয় কিশোরীর। নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানায়। পরে সংবাদ পেয়ে ডবলমুরিং থানা পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। পরে ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা করা হয়।