সন্দ্বীপে ট্রলারডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরো চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ জনে।
আজ বুধবার ভোরে দুর্ঘটনাস্থল উপজেলার গুপ্তঘাটের আশপাশে চারটি লাশ ভেসে ওঠে। এর পর তাঁদের উদ্ধার করে ডাঙায় নিয়ে আসা হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম জাকারিয়া।
ইউএনও আরো জানান, লাশ চারটি স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। তাঁরা হলেন প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেন, শিশু সাদিফ সাদ ও নেহা। সাদ ও নেহা দুই ভাইবোন বলে জানা গেছে।
প্রকৌশলী হারুনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি পূবালী কনস্টাকশনের একজন কর্মকর্তা। সন্দ্বীপে কাজের জন্য যাচ্ছিলেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন উদ্ধারকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সালমান।
গত রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে আসা যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে লাল বোটের মাধ্যমে ঘাটে নামার সময় প্রচণ্ড স্রোতে বোট উল্টে যায়।
ঘটনার পর থেকেই নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।