সাংবাদিক মুকুলের ‘প্রেমিকা’ কারাগারে
সাংবাদিক নাজনীন আক্তার তন্বীর করা মামলায় মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস সিঁথির জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার তন্বী তাঁর স্বামী গাজী টেলিভিশনের (জিটিভি) সাবেক বার্তা সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মুকুল ও তাঁর কথিত প্রেমিকা সিঁথির বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলাটি করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে সিঁথি তাঁর আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে তা নাকচ করে দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক অমিত কুমার দে।
শুনানিতে সিঁথির আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান আদালতকে বলেন, মুকুলের সঙ্গে সিঁথির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর স্বামীর সঙ্গেই তিনি বসবাস করছেন। মুকুলকে নির্যাতনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের সঙ্গেও তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু সাংবাদিক মুকুল ও সিঁথির কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি আদালতকে দেখিয়ে বলেন, সিঁথি তাঁর স্বামীর ঘর-সংসার করলে অন্যের স্বামীর সঙ্গে এমন অন্তরঙ্গ ছবি আসে কীভাবে? মুকুলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই মুকুল নাজনীনের ওপর নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এসব ছবি কম্পিউটারে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা বলে দাবি করেন সিঁথির আইনজীবী।
শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস সিঁথিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন মিরপুর মডেল থানায় দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন তাঁর স্বামী মুকুল ও সিঁথির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার পর ২৬ জুন দিবাগত রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে মুকুলকে আটক করে পুলিশ। একদিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার পর মুকুল বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
দুই বছর আগে মুকুল-তন্বী দম্পতির প্রথম সন্তান চন্দ্রমুখী অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় শোকে পাঁচতলা থেকে লাফ দেন তন্বী। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এর পর দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।