সন্দেহের শীর্ষে বিএনপি-জামায়াত : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রকাশক-ব্লগার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার পেছনে সন্দেহের তালিকায় বিএনপি-জামায়াত শীর্ষে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড এবং ঘুষখোর সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতির মাধ্যমে বোঝা যায়, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, এসব হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সন্দেহের যে তালিকা রয়েছে, এতে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা শীর্ষে রয়েছেন।’
বিচারাধীন বিষয় হলেও একজন নাগরিক এবং ক্রিমিনাল আইনজীবী হিসেবে একে নিজস্ব অভিমত উল্লেখ করে যে কেউ তার নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করলে সেটা কেন আদালত অবমাননা হবে- এমন প্রশ্ন উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘৭২-এর সংবিধান : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদ সন্ত্রাস নির্মূলের ব্যবস্থাপত্র’ শীর্ষক একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আনিসুল হক।
ব্লগার-প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার আইনগত ভিত্তি রয়েছে মন্তব্য করে সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের স্বার্থ রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা চাইলে এসব ঘটনার সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট করে দেওয়া যাবে।’
‘এ পর্যন্ত এ ধরনের যতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর মধ্যে ব্লগার রাজীব হত্যার অভিযোপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর প্রতিদিন শুনানি হবে।’
এ সময় ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার চলতি মাসের মধ্যে শেষ করার সম্ভাবনার কথাও জানান আইনমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ প্রমুখ।
এই সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে,আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।’