মসজিদে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে ৩ যুবক
মাগরিবের নামাজ শেষে এশার নামাজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেশ কয়েকজন মুসল্লি। পড়ছিলেন দোয়া-কালাম। ঠিক সেই সময় মাথায় টুপি ও পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা তিন যুবক এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যান। এতে মসজিদের অনিয়মিত মুয়াজ্জিন নিহত এবং তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের হরিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শিয়া মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মুয়াজ্জিনের নাম মোয়াজ্জেম হোসেন (৬০)। তাঁর বাড়ি হরিপুর গ্রামে। আহত ব্যক্তিরা হলেন হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আফতাব হোসেন (৪০), মাওলানা শাহিনূর (৩৫) ও আলাদীপুর গ্রামের তাহের মিস্ত্রি (৫০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত ব্যক্তিরা জানান, হরিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শিয়া মসজিদে আজ মাগরিবের নামাজ শেষে বেশ কয়েকজন মুসল্লি এশার নামাজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এবং দোয়া-কালাম পড়ছিলেন। তখন নিয়মিত মুসল্লিদের সঙ্গে ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী অপরিচিত তিন যুবক মসজিদে প্রবেশ করেন। তাঁদের মাথায় টুপি ও পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল। ওই তিন যুবক মসজিদে ঢুকেই মুসল্লিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ওই তিন যুবক দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
গুলির ঘটনায় মসজিদের চারজন আহত হন। রাত পৌনে ৮টার দিকে তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অন্য তিনজনকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গুলির খবর পেয়ে হতাহতদের স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় করে আহাজারি করে।
নিহত মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাতিজা জানান, মসজিদে মুয়াজ্জিন অনুপস্থিত থাকলে তাঁর চাচা মাঝেমধ্যে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদটি ঘিরে রেখেছে। জড়িতদের ধরতে এলাকায় অভিযান চলছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ঢাকায় হোসেনি দালানে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।