পুরোনো প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা, ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি
গোপালগঞ্জের দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০১৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী করা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ায় দুই কেন্দ্রসচিবসহ আট শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া এস কে সরকারি কলেজ কেন্দ্র ও সদর উপজেলার সাতপাড় বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন না পড়ায় এবং ভালো পরীক্ষা দিতে না পেরে অনেকটা ভেঙে পড়েছে দুই কেন্দ্রের ১৫০ জন পরীক্ষার্থী।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে রামদিয়া এস কে সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ৭৯ জন শিক্ষার্থী ২০১৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী করা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রেই বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব মো. জয়নদ্দিন, দায়িত্বরত শিক্ষক আজিজ বিন খোরশেদ, পার্থ বিশ্বাস, সুজন মণ্ডল, ছবি রানী বিশ্বাস ও গুরুপদ হীরাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অপরদিকে, একইভাবে সদর উপজেলার সাতপাড় বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭১ জন পরীক্ষার্থী গত বছরের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়। এ কারণে ওই কেন্দ্রের সচিব মামুন বিশ্বাস ও হল সুপার দুলাল চন্দ্র মজুমদারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রামদিয়া এস কে সরকারি কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সিতারামপুর এম এইচ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমি খানম বলে, ‘ইচ্ছে ছিল ভালো ফলাফল করার। কিন্তু গত বছরের সিলেবাস নিয়ে করা প্রশ্নপত্র দেওয়ায় এখন পাস করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আমিসহ অন্য পরীক্ষার্থীরা কর্তব্যরত শিক্ষককে জানালেও শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।’
এ ব্যাপারে রামদিয়া এস কে সরকারি কলেজ কেন্দ্রের সচিব মো. জয়নদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন্দ্রের ২৪১ ও ২৪২ নম্বর কক্ষে এ সমস্যা হয়েছে। প্রশ্নপত্র সর্টিং করার সময় এ ঘটনা ঘটে যায়।
কাশিয়ানি উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমাকে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’