পুলিশ পিটিয়ে জামায়াত নেতাকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সহিংসতা মামলার পলাতক আসামি জামায়াত নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হায়দর আলীকে আটকের পর পুলিশকে পিটিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সহযোগীরা।
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন পুলিশের সহায়তায় হায়দর আলীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় হায়দরের এক সহযোগীর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা এনটিভি অনলাইনকে জানান, হায়দর আলী ২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতা ও নাশকতার মামলার আসামি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী বাজারে সহযোগীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন হায়দর আলী। এ সময় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁকে আটক করে। হায়দর আলী তখন এসআই রাজ্জাকের ঘাড়ে বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। সাথে সাথে তাঁর সহযোগী মনসুর আলী, শামসুর রহমান, হালিম গাজী, আশরাফ, মোশাররফ, এরশাদ ও হাসান গাজী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হায়দরকে মোটরসাইকেলে তুলে নলতার দিকে পালিয়ে যান।
ওসি আরো জানান, পরে অতিরিক্ত পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় হায়দরের সহযোগী মনসুর আলীর স্ত্রী রাফিজা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হায়দর আলী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। তবে হায়দর আলীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান ওসি।
শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও বসুখালী বাজারের দোকানদার রমজান আলী এনটিভি অনলাইনকে অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর পুলিশের সহায়তায় শোভনালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড পুলিশিং কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে লোকজন হায়দর আলীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।