টাম্পাকো দুর্ঘটনা : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫
গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডির জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হোসেন আহমেদ রাসেল (২৬)।
গাজীপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এ নিয়ে টাম্পাকো দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জনে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১১ জন।
নিহত রাসেল সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ঘাঘুয়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে। দুর্ঘটনার দিন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর তাঁর জ্ঞান ফেরেনি বলে জানান মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, রাসেলের শরীরের ৭০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছিল। গত রাতেই স্বজনরা তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর বাবার হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাস সঞ্চালন লাইনে অগ্নিবিস্ফোরণের ঘটনায় টাম্পাকো ফয়েলস কারখানা বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার ১২তম দিনে আজও ওই কারখানায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর কর্মীরা।
টাম্পাকো কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। কারখানার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আবদুল কাদের। পরে গত শনিবার রাতে কারখানার মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করে টঙ্গী থানা পুলিশ। এ মামলার বাদী হয়েছেন টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার।