আইআইইউসির ছাত্র নিহত এনায়েত উল্লাহর বাড়িতে শোকের মাতম
সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে নিহত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসির) শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) তাঁর মরদেহ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
নিহত এনায়েত উল্লাহ উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের মাওলানা এমদাদুল্লাহর ছেলে। ২০২২ সালে তিনি আইআইইউসিতে দাওয়াহ অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান এনায়েতসহ তিন বন্ধু। পরে সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন তারা। গোসলের এক ফাঁকে জোয়ার টানে তিনিসহ আরেকজন ভেসে যান সমুদ্রে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে জানানো হয়। তারা রাত ১১টার দিকে গভীর সমুদ্র থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আরেক শিক্ষার্থী হলেন আলী হাসান মারুফ (২৩)। তাঁর বাড়ি কুমিল্লায়।
এনায়েতের মরদেহ আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশীদ তাঁর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে দুপুরে জানাজা শেষে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত এনায়েত উল্লাহর বোনজামাই আইন উদ্দিন বলেন, ‘এনায়েত মেধাবী ও পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিল। আমাদের স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে বড় একটি চাকরি করে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু তার মৃত্যুতে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।’
শিক্ষার্থীর সহপাঠী রাকিবুল হাসান জানান, তাঁরা সীতাকুণ্ড উপজেলার গুল আহমদ জুট মিল এলাকার একটি বাসায় ভাড়ায় থাকেন। গতকাল বিকেলে তাঁরা তিন বন্ধু বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। পরে তারা তিনজনই সাঁতার কাটতে সৈকতে নামেন। এ সময় আলী হাসান মারুফ ও এনায়েত উল্লাহ স্রোতের টানে সাগরে ভেসে যান।’
সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশীদ জানান, গতকাল বিকেলে আইআইইউসির তিন শিক্ষার্থী বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যায়। সন্ধ্যায় ভাটার সময় তিনজনেই সাঁতার কাটতে সমুদ্রে নামে। এই সময় স্রোতের টানে মারুফ ও এনায়েত ভেসে যায়। তবে নিরাপদে উপরে উঠে আসে একরাম হোসেন। এটি একটি বড় দুর্ঘটনা। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মর্মাহত, শোকাহত।