থমথমে কাকরাইল-সেগুনবাগিচা
রাজধানীর নয়াপল্টনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির মহাসমাবেশে বক্তব্য বন্ধ রেখেছেন নেতারা। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে সেগুনবাগিচা, কাকড়াইল, বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক ও নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হওয়া মহাসমাবেশে বক্তব্য চলছিল নেতাদের। অদূরেই শুরু হয় টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ। তারপর থেকে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বক্তব্য বন্ধ করে দেন নেতারা।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্য দেওয়ার পর সেখানে আর কারও বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। এর আগে বক্তব্য দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেগুনবাগিচা, কাকড়াইল, বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক, নাইটিঙ্গেল মোড় থমথমে। সেখানে অলিতে-গলিতে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। থেমে থেমে এসব এলাকায় সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যাচ্ছে, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী এসবে আতঙ্কে রয়েছে।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এতে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সঞ্চালনা করছেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।
মহাসমাবেশ যোগ দিতে সকাল থেকেই নয়াপল্টনমুখী হাজার হাজার নেতাকর্মীর মিছিলের স্রোত শুরু হয়। রাজধানীর চারপাশ থেকেই মিছিল আসতে থাকে। সকাল ১০টা বাজতেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকা। মানুষের ঢল আরামবাগ, ফকিরাপুল থেকে শুরু হয়ে নয়াপল্টন, কাকরাইল পার হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে ঠেকেছে। দক্ষিণ দিকে বিজয়নগর উপচে পুরানা পল্টনে গিয়ে ছড়িয়েছে। যেদিকেই চোখ যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিলের ঢল আর গগনবিদারী স্লোগানের শব্দ। মানুষের ভিড়ের কারণে চৌধুরীপাড়া থেকে ফ্লাইওভারটি পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, মালিবাগ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।