বিএনপি সরকারে গেলে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিচার হবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের যত জমিজমা অতীতে দখল করে নেওয়া হয়েছে, মূলে যে সরকার ছিল তা আপনারা জানেন, আমি তাদের নাম বলতে চাই না। আমি আপনাদের এই কথাটা বলতে পারি আমাদের সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, আমরা প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করবই।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বিশাল পরিবর্তনের পরে সারাদেশের মানুষ যখন আনন্দিত হয়েছে এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে; আশা তৈরি হয়েছে, এই সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিদেশি কিছু মিডিয়া, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, যা একেবারেই সত্য নয়। ঘটনা ঘটেনি আমি তা বলবো না, তবে সেগুলো সাম্প্রদায়িক ঘটনা ছিল না, সেগুলো ছিল রাজনৈতিক ঘটনা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা অশুভ শক্তি, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পরিবর্তন হয়েছে এবং তাদের নেত্রী দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হয়েছে। যেটাকে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং যারা বিপ্লবের সঙ্গে, বিদ্রোহের সঙ্গে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন সবাই মিলে সমর্থন দিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই পূজা উদযাপনের বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সারা দেশে আমাদের দলের পক্ষ থেকে আপনাদের সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছি, মতবিনিময় করেছি এবং সর্বাত্মকভাবে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি মণ্ডপে আমরা সশরীরে আমাদের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তারা এখন তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
ফখরুল বলেন, আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করে একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে যেখানে আমাদের একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে আমাদের মধ্যে কোন ভেদ থাকবে না ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না; এক বর্ণের সঙ্গে আরেক বর্ণের প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা বা রাজনীতি থাকবে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমরা অতীতেও এই মণ্ডপে এসেছি। এখানকার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে আমাদের তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা সাহেব এবং আমাদের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আপনাদের এখানে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আপনাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এই পরিবর্তনের পরেই আমরা যোগাযোগ করেছি, আলোচনা করেছি, কথা বলেছি। আপনারা যে ৮ দফার কথা বলেছেন, সেই ৮ দফা নিয়ে আমাদের অবশ্যই সহানুভূতি রয়েছে। অতীতে যেমন আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আপনাদের প্রতিটি সমস্যা আমরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, আগামীতেও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকবো।