দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের ভরিতে এক হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯২ হাজার ২৬২ টাকা।

আগামীকাল রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি, ৮ জানুয়ারি, গত বছরের ৩০ ও ৪ ডিসেম্বর এবং ১৮ ও ১৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে ছয় দফা স্বর্ণের দাম বাড়ে। এতে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে যায় এই ধাতুটি।

সর্বশেষ ১৫ জানুয়ারি দাম বাড়ার মাধ্যমে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি ৯৩ হাজার টাকা স্পর্শ করেনি। রেকর্ড দাম হওয়ার পর এখন স্বর্ণের দাম কিছুটা কমল।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ২৬২ টাকা করা হয়েছে।’

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৮৮ হাজার ৬৩ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯২ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৮১৬ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ৮৬৭ টাকা করা হয়েছে।