আবাসন খাতে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ পাবে প্রবাসীরা
আবাসন খাতে বিনিয়োগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা (এনআরবি) ঋণ পাবেন বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এনআরবিদের বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে এরই মধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আবাসন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের মোট বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ এ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিহ্যাব ফেয়ার, ২০১৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোশাররফ হোসেন জানান, ‘প্রবাসীদের জন্য তহবিলের ঋণের সুদ প্রথমে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ বা ৯ শতাংশে রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের গৃহঋণের টাকা কখনো ডেসটিনি বা হলমার্কের মতো হবে না। এর পুরো অংশই তারা ফেরত দেবে। তাদের বিনিয়োগ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি।’
রিহ্যাবকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের মানুষের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতকেই কাজ করতে হবে। তা না হলে আমাদের যে পরিমাণ আবাসন দরকার তার চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।’
মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় সরকারিভাবে যেসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে তার গুণগত মান খুবই ভালো। দেশের বেসরকারি খাতের মাধ্যমে করা এ কাজে সরকার সন্তুষ্ট। সরকার আশা করছে, ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে সব ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারব।’
রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর সামসুল আলামিন বলেন, ‘চার বছর ধরে এ খাতে মন্দা বিরাজ করছে। এর সমাধানে আমরা সার্বক্ষণিক সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছি। এরই মধ্যে প্রবাসীদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।’
আলমগীর আরো বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের গৃহঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে না এলে এ খাতে সুবাতাস আসবে না। দুই বাজেটে অপ্রদর্শিত টাকা আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উৎস জানতে চাওয়া ও আইনগত জটিলতার কারণে তার কোনো প্রভাব এ খাতে পড়ছে না। সরকারের কাছে এ সমস্যার সমাধানেরও আহ্বান জানান তিনি।
পাঁচ দিনের আবাসন মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলায় বিশটি ভবন নির্মাণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ দেড় শতাধিক স্টল রয়েছে।