এবার ঢাবির সহকারী প্রক্টরের অপসারণ দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর নাম আরমানুল হক। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে আরমানকে লাঞ্চিত করা হয়। এরপর আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিকেল ৫ টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
আরমান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই যখন অনশন করছিলেন, তখন সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান স্যার তাঁর অনশন ভাঙ্গিয়ে ওই আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করছিলেন। তখন আমি স্যারকে বলেছিলাম যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রক্টর যারা আছেন, তাঁরা আসলে হাসনাত ভাই অনশন ভাঙবে এবং আমরা আমাদের আন্দোলন-কর্মসূচি স্থগিত করব। এসময় ভিসি-প্রক্টর কেন বললাম ও এ পদবিগুলোর সঙ্গে স্যার কেন বললাম না, এই অযুহাতে স্যার আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন এবং আঘাত করেন। এরপর তাঁর নির্দেশে প্রক্টরিয়াল টিম আমাকে আটক করার চেষ্টা করে।’
আরমান আরও বলেন, ‘আমার হাতে থাপ্পড় দেওয়া, তুই-তুকারি করার প্রতিবাদ না করলে এসব শিক্ষক তাঁদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ জারি রাখবেন। প্রক্টরদের দায়িত্ব ক্যাম্পাসে প্রতিটা জীবের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু, মাহবুবুর রহমান স্যার যেটা করলেন, তা স্রেফ মাস্তানি ছাড়া কিছুই নয়।’
আরমান আরও বলেন, ‘আমি চাই, এমন শিক্ষকরা বুঝতে শিখুক যে এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাদের দাস না।’
আরমানের অভিযোগ, ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থী হয়রানি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ৮ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছিলেন ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাঁকে সংহতি জানাতে গত বুধবার সেখানে যান তিনি। পরে সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন ও গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।