নায়ক ফারুক ছিলেন পুরান ঢাকার ‘দুলু গুণ্ডা’
ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এই নায়ক ফারুক ছিলেন পুরান ঢাকার ‘দুলু গুণ্ডা’।
২০১৮ সালে এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ফেলে আসা জীবনের গল্পে ফারুক বলেছিলেন, ‘একসময় পুরান ঢাকার মানুষ আমাকে ভয় পেত। সবাই আমাকে দুলু গুণ্ডা নামে চিনত। এলাকায় কোনো নাটক হলে আমাকে ভাড়া করা হতো তা নষ্ট করার জন্য। দেখা গেল, নাটক শুরু হয়েছে আর আমি পাশে দাঁড়িয়ে পচা ডিম মারছি। ভয়ে আমাকে কেউ কিছু বলতেও পারত না। পুরান ঢাকার দুলু গুণ্ডাই আজকের নায়ক ফারুক।’
২০২১ সালের ৪ মার্চ থেকে আকবর হোসেন পাঠান ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চিত্রনায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় তাঁর। এরপর তিনি পরিণত হন অন্যতম জনপ্রিয় নায়কে।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক ফারুক বড় পর্দায় আসেন। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি।