হাসপাতালে থাকা সুজেয় শ্যামের সর্বশেষ অবস্থা জানাল পরিবার
খ্যাতিমান সুরকার, সংগীত পরিচালক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক সুজেয় শ্যাম শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ১১ জুন থেকেই ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
সুজেয় শ্যাম মেয়ের স্বামী দীপংকর দে গণমাধ্যমকে জানান, এমনিতেই তার (সুজেয় শ্যাম) শ্বাসকষ্টে সমস্যা আছে। কয়েকদিন আগে এই সমস্যা আবার দেখা দেয়। আমরা একাধিক হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাই। পরীক্ষা করে জানতে পারি ওনার হার্টের রিদমে সমস্যা হচ্ছিল। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসি।
জানা গেছেন, আজ (১৫ জুন) তার এনজিওগ্রাম করার কথা ছিলো। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে সেটা হচ্ছে না। এখন সেটা আগামি শনিবার (২২ জুন) করতে হবে। পেসমেকার বসাতে হবে। ততোদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে সুজেয় শ্যামকে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার সনদ পান সুজেয় শ্যাম। তার আগপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো ভাতা পেতেন না বরেণ্য এই সুরকার ও সংগীত পরিচালক। দুই বছর ধরে তা পাচ্ছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানের সুর করেন সুজেয় শ্যাম।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গীতিকার শহীদুল আমিনের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। গানটির প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন অজিত রায়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত সুজেয় শ্যামের অন্য গানগুলোর মধ্যে আছে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয়রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’ ও ‘শোন রে তোরা শোন’।
২০০৯ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ৫০টি গান এ প্রজন্মের শিল্পীদের দিয়ে নতুন সংগীতায়োজনে গাইয়েছেন সুজেয় শ্যাম। তাঁকে সহযোগিতা করেন পার্থ বড়ুয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০১৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়, এটিরও সংগীতায়োজন করেন সুজেয় শ্যাম।