করোনাভাইরাসের হাত থেকে কতটা রক্ষা করবে মাস্ক?
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণে চীনে মারা গেছেন ৪২৫ জন। আক্রান্ত অবস্থায় আছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। চীন থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। চীন ছাড়াও আরো ২৪টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস।
ভারতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিহ্নিত করা গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। এটি শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাতে পারে। বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে মাস্কে মুখ-নাক ঢেকে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
কীভাবে মাস্ক ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব, তা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সঠিক আবহাওয়া ও সঠিক উপায়ে মাস্ক ব্যবহার করা হয়, এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর ক্ষেত্রে তা কার্যকর হতে পারে। তবে চীন ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনো দেশে মাস্ক ব্যবহারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে কোন ধরনের মাস্ক পরবেন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সহকারী প্রভাষক মেরিবেথ সেক্সটন জানান, সর্বাধিক পরিহিত, সস্তা ও ডিসপোজেবল মাস্ক, যা সার্জিক্যাল মাস্ক হিসেবে পরিচিত, এটি করোনাভাইরাসকে আটকাতে পারে, তবে নির্মূল করতে পারে না।
এ ধরনের সার্জিক্যাল মাস্ক সাধারণত হলুদ বা নীল রঙের হয়ে থাকে, যা রাবারের মাধ্যমে শক্তভাবে কানের মধ্যে আটকানো যায়। এর মাধ্যমে মুখ, চিবুক ও নাক ঢাকা সম্ভব হয়। আর এসব মাস্কের ওপরে একটি লোহার স্ট্রিপ থাকে, যা সহজে মুখ-নাক ঢেকে রাখে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরার পাশাপাশি সেটি খোলার বিষয়েও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। মাস্ক খোলার সময় খেয়াল রাখা উচিত যেন এতে কোনো ময়লা না লাগে এবং একবারে খোলা যায়।
এদিকে, কোনোভাবেই যেন করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অন্য দেশ থেকে এখন যারা আসবে, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।