‘ইনহেলার অ্যাজমার ভালো চিকিৎসা’
অ্যাজমা হলে অনেকে ইনহেলার ব্যবহার করতে চান না। তবে ইনহেলার ব্যবহারই ভালো চিকিৎসা—এমন মতামত বিশেষজ্ঞদের। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৬৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মাহবুবুল আলম। বর্তমানে তিনি আল মানার হাসপাতালের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেক সময় রোগীদের ক্ষেত্রে দেখি ইনহেলার ব্যবহারের আগ্রহ অনেক কম। তখন আপনারা রোগীদের কী বলেন?
উত্তর : আসলে ইনহেলারের জন্য সবার মনের মধ্যে একটি ভয় থাকে। ভাবেন, ইনহেলার বোধ হয় অ্যাজমার শেষ চিকিৎসা। আসলে সেটি নয়। ইনহেলার হলো প্রথম চিকিৎসা। ইনহেলার দিয়েই চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা। এর কারণ হলো, ইনহেলারের ভেতরে যে ওষুধটা থাকে, এটা খুব কম ডোজে থাকে। আপনি দেখেন যে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম অথবা ৫০০ মাইক্রোগ্রাম অথবা ১২৫ মাইক্রোগ্রাম থাকে। মাইক্রোগ্রাম মানে ছোট। আমরা যখন ওষুধ খাই, মিলিগ্রামে খাই। সেগুলোর পাওয়ার অনেক বেশি। সেগুলো খাওয়ার পর পাকস্থলী থেকে রক্ত শোষণ হয়। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাতে রয়েছে। যার কারণে সরাসরি আমরা ইনহেলারের মাধ্যমে শ্বাসনালিতে ঢুকিয়ে দিই। কিছু ডিভাইজ আছে, এগুলোর মাধ্যমে ওষুধ সরাসরি দেওয়া যায় এবং কার্যকর হয়। সুতরাং ইনহেলারই হলো প্রথম চিকিৎসা। তাই এটাই বলতে হবে যে ইনহেলারের মাধ্যমে চিকিৎসাটাই ভালো চিকিৎসা।
এখন কথা হলো, কার জন্য কোন ইনহেলার আছে? তারও আবার পার্থক্য আছে। দুটো ইনহেলার আমাদের কাছে আছে—এমডিআই ও ডিপিআই। এখন কার জন্য কোনটা, সেটি আমাদের বুঝতে হবে। মুখে লাগিয়ে দিয়ে চাপ দিলে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে। ইনহেলার চিকিৎসার প্রথম ধাপ।
আরেকটি ডিভাইস আছে, যাকে বলে ড্রাই পাউডার ডিপিআই। এর মধ্যে ক্যাপসুল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ক্যাপসুল আটকে ছিদ্র করা হয়। টেনে টেনে মুখের মধ্যে ওষুধ নিতে হয়।
ডিপিআই হলো যাদের পিক ইনপেরিটোরি ফ্লো, ৩০ লিটার থেকে ১২০ লিটারের মধ্যে থাকে, তাদের জন্য। আপনারা জানেন যে ক্যাপসুলের ভেতরে দানা থাকে, যেটি শ্বাসনালিতে ঢোকে, রক্তে ঢুকে ব্রোকোডাইলাইশেন করে। যিনি নিতে পারবেন, এটি ওনার জন্য ভালো। তবে কথা আছে। যেমন তরুণ মেয়েরা, তারা সাধারণত ইনহেলার ব্যবহার করতে চায় না। তারা এটি পার্সের মধ্যে রেখে ব্যবহার করতে পারে। ডিপিআইর দাম একটু কম। এমডিআইর দাম একটু বেশি। তবে এটি ব্যবহার করার পর কুলি করতে হবে।
প্রশ্ন : ফলোআপের জন্য কি আবার রোগীকে আসতে বলেন?
উত্তর : আসলে আমাদের চিকিৎসকদের ব্যস্ততার কারণে, আমরা এটা ভালোভাবে খেয়াল করতে পারি না। চিকিৎসকদের উচিত হবে রোগীকে যেন ভালোভাবে নির্দেশনা দিয়ে বলে দিই, ফলোআপ করার জন্য।