বুক না কেটে হার্টের সার্জারির সুবিধা
বুক না কেটে হার্টের সার্জারি বা মিনিমাল ইনভেসিভ হার্টের সার্জারির নানা সুবিধা রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৮৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. ফাইজুস সাজ্জাদ। বর্তমানে তিনি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ সার্জন হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বুক না কেটে হার্টের সার্জারি কাদের ক্ষেত্রে করা হয়? এই সার্জারির সুবিধা কী?
উত্তর : মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারি সম্পর্কে বলতে চাই, এখানে কাটার পরিমাণটা কনভেনশনাল সার্জারির তুলনায় অনেক কম। এখানে আসলে দুই ইঞ্চির মতো একটি ইনসেশন থাকে, একে আসলে আমরা ‘কি হোল’ সার্জারি নামেও বলি। এটা খুব নতুন কিছু নয়। এটা ৯৮’ /৯৯’ থেকে বিশ্বব্যাপী প্র্যাকটিস হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটি নতুন। কিছু বাড়তি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।
কাদের ক্ষেত্রে করছি? রোগী নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বাইপাস অপারেশন মিনিমাল ইনভেসিভ প্রক্রিয়ায় করা সম্ভব। এ ছাড়া রয়েছে হার্ট ভাল্ভ সার্জারি। এটা করা যায়।
আপনি যতটুকু কাটবেন রক্তপাত তার সঙ্গে সম্পর্কিত। তো আপনি অল্প পরিমাণ কাটবেন। রক্তপাত কম হবে। যত রক্তপাত হবে, তত রক্ত দিতে হবে। এই হার্টের অস্ত্রোপচারের রক্তপাতের পরিমাণ কমে আসবে। দ্রুত ঠিক হবে। কাটাছেঁড়া যত কম হবে, তত দ্রুত ঠিক হবে। কিছু কিছু অস্ত্রোপচার যেমন অ্যাওটিক ভাল্ভ সার্জারির ক্ষেত্রে দেখা যায় সকালে হয়তো অস্ত্রোপচার হলে পরের দিন চলে যেতে পারছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে এ রকম হচ্ছে।
এর বাইরে হার্ট অস্ত্রোপচারের পরে কিছু সংখ্যক রোগী অস্বাভাবিক রিদম (হৃদ স্পন্দন) দেয়। একে এরিদমিয়া বলা হয়। গবেষণা বলে, এই বিষয়গুলো মিনিমাল ইনভেসিভ হার্ট সার্জারিতে কম।