ভুঁড়ি কমানোর সার্জারি অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি
ভুঁড়ি নিয়ে অনেকেই বিব্রত থাকেন। তবে এখন ভুঁড়ি কমানো সহজ। সার্জারির মাধ্যমে এটি কমানো যায়। এই সার্জারিকে বলা হয় অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি।
অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টির বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আহমেদ। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি কী?
উত্তর : অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি হলো পেটের সৌন্দর্য বাড়ানোর সার্জারি। আমাদের দেশে মানুষের যে খাদ্যাভ্যাস, আমরা খুব ভাত খাই। শর্করা জাতীয় খাবার আমরা খুব পছন্দ করি। ভাত, মিষ্টি এগুলো কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের খুবই প্রিয় খাবার। এতে হয় কি, আমাদের শরীরে, বিশেষ করে পেটে খুব চর্বি জমে। পেটে চর্বি জমার একপর্যায়ে পেটটা খুব ঝুলে যায়। পেটের ভেতরের যে মাংসপেশি রয়েছে বা মাংসপেশির যে পর্দা রয়েছে, সেটি ঝুলে যায়। এর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে সার্জারিটা করি, সেটি হলো অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি।
মূলত, যেটিকে আমরা ভুঁড়ি বলি, সেটি আগের অবস্থায় যেন নিয়ে আসতে পারি, সে জন্য যে সার্জারি করা হয়, সেটিকে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি বলা হয়।
প্রশ্ন : রোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করেন?
উত্তর : সাধারণত আমাদের কাছে যে রোগীগুলো বেশি আসে, নারীরা খুব বেশি আসে। দেখা যায় যে একটি বা দুটো গর্ভাবস্থার পরে তারা আসে। নারীদের গর্ভধারণের জন্য অনেক দিন যখন পেটটা স্ফীত থাকে, তখন পেটের পেশির দেয়ালের যে পর্দাটা থাকে, সেটি নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। নমনীয়তা হারালে হয়তো আর ফিরে না। তার পেটটা হয়তো অনেক সুন্দর ছিল, গর্ভাবস্থার পরে পেটটা ঝুলে গেছে। অনেক চর্বি জমা হয়েছে। অনেকে ব্যায়ামের পরেও হয়তো এটি ফিরে আসার কথা নয়। ঝুলে যায় যেটি, এটি আর হয়তো কখনো ফিরে আসে না। তো নারীরাই মূলত এই চিকিৎসা নিতে আসে বেশি।
পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক ওজন ছিল, ব্যায়াম করে ওজন কমিয়েছে, তবে পেটের চামড়াটা ঝুলে গেছে। এরা বিশেষ করে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করতে আসে।