‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের অধিকার’
আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের অধিকার।
অটিজম একটি বিশেষ স্নায়বিক বা বিকাশজনিত রোগ। এটি শিশু বা ব্যক্তির যোগাযোগের দক্ষতা, সামাজিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে।
অটিজমের বিষয় নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৯৫তম পর্বে কথা বলেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আজিজুর ইসলাম। বর্তমানে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বিশ্ব অটিজম দিবস পালন করার উদ্দেশ্য কী? এ বছর এই দিনকে ঘিরে মূল প্রতিপাদ্য কী?
উত্তর : ২ এপ্রিল সারা বিশ্বে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হলো, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিন নয়। এটি জেনারেল অ্যাসেমব্লি কর্তৃক পাস করা। জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেমব্লি কর্তৃক এই দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অনুমোদিত চারটি দিন পালন করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।
আসলে এর উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হলো, অটিজম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। মানুষের মধ্য থেকে অটিজম সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণাগুলো দূর করে দেওয়া। অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও তাদের মা-বাবাকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, কীভাবে সহানুভূতি দেখানো যায়, সেটি খেয়াল করা। এরপর অটিজম কী করে চিকিৎসা করা যায়, এ বিষয়ে জানানো।
একজন অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিকে কীভাবে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে যাওয়া যায় এবং তাদের অধিকার কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, এই জিনিসগুলো ধরে কাজ করা হলো উদ্দেশ্য।
এবারও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আবার এটি আমরা প্রতিষ্ঠা করব, আবার এটি অঙ্গীকার করব, আমরা অটিজমের জন্য, অটিজম আক্রান্ত মানুষের জন্য কিছু করব। এটা হলো গিয়ে সম্পূর্ণ স্লোগান।
আর এবারের প্রতিপাদ্য হলো অ্যাসিসটিভ টেকনোলজিস, অ্যাকটিভ পারটিসিপেশন। এর বাংলা হলো, সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের অধিকার।
আমরা জানি, সারা বিশ্ব প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গিয়েছে, তবে অটিজমে আক্রান্ত শিশু-কিশোররা হয়তো অনেক দিকে পিছিয়ে রয়েছে। সেই সহায়ক প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে তাদের সাহায্য করা যাবে, প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে তাদের মূল স্রোতে নিয়ে আসা যাবে, সেই সহায়ক প্রযুক্তি দিয়ে তাদের কীভাবে শিক্ষা দেওয়া যাবে, চাকরির ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া যাবে, এগুলো আসলে মূল উদ্দেশ্য।