শ্বেতী রোগের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
শ্বেতী রোগ নিয়ে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত থাকেন। তবে শ্বেতীর অনেক আধুনিক চিকিৎসা বর্তমানে রয়েছে। শ্বেতী রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মাসুদা খাতুন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৬৪তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : শ্বেতী রোগের চিকিৎসা কী? মানসিকভাবে কীভাবে পরামর্শ দেন?
উত্তর : আমাদের জানাতে হবে, এটা কোনো খারাপ রোগ নয়। এটা অটো ইমিউন রোগ। এটি ছোঁয়াচে নয়। জিনগত একটি কারণ থাকে। আগে হয়তো কারো ছিল, আবার না থাকলেও হতে পারে। এটা আমাদের একটু সময় নিয়ে বলতে হয়। আমাকে বলতে হয় যেটি অল্প থাকতে চিকিৎসা করলে এখান থেকে আমরা অনেকটাই প্রতিকার পেতে পারি।
প্রশ্ন : বর্ণটা যখন পরিবর্তন হতে থাকে, সাধারণ কোন জায়গা থেকে শুরু হয়? এর কি কোনো নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে?
উত্তর : না, এর নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। যেকোনো জায়গা থেকে শুরু হতে পারে। ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে আমরা হয়তো দেখি, প্রথমে যোনিপথে সাদা হয়। এ জায়গাগুলোতে সাদা হচ্ছে। আমার একটি ধারণা হলো, এই রোগীগুলো ১০০ ভাগই ভালো হয়ে যায়। আমরা যে ওষুধগুলো দিই, সেই বাচ্চাদের বেলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটা অনেক শক্তিশালী থাকে।
আমরা অল্প কিছুদিন ওই রোগীকে স্টেরয়েড দিই বা কিছু সাপ্লিমেন্ট দিই। এগুলো মাখলে বা খাওয়ালে অনেক রোগী ভালো হয়ে যায়। এটা আমার কাছে খুব আশার একটি বিষয় মনে হয়।
প্রশ্ন : যারা পরে আসছে বা অন্য চিকিৎসা করার পর অকার্যকর হয়ে আসছে, তাদের ব্যাপারে কী থাকে?
উত্তর : তাদের ক্ষেত্রে এটা মাইল্ড (অল্প), মডাটের (মধ্যম মানের), সিভিয়ার (জটিল) এভাবে ভাগ করি। রোগীর কত জায়গাজুড়ে সমস্যাটি রয়েছে সেটি দেখি। সেটি যদি মাইল্ড হয়, তাহলে একটা প্রোটেন্ট স্টেরয়েড দিলেই অনেক সময় চলে যায়। আর মডারেট যদি হয়, অনেক সময় স্টেরয়েড ইনজেকশন দিতে হয়। আর কিছু নতুন ওষুধ চলে এসেছে। এগুলো আমরা খাওয়াই শ্বেতীর জন্য।
আর খুব জটিল হয়ে গেলে এখন সার্জিক্যাল চিকিৎসা চলে এসেছে। আমরা মেলানোসাইট ট্রান্সফার করতে পারি।
প্রশ্ন : এটি কোথায় হচ্ছে?
উত্তর : সেন্টারগুলো নাম তো বলা কঠিন। অনেক জায়গাতেই হচ্ছে এগুলো। মেলানোসাইট ট্রান্সফারের বিষয়টি অনেকে সফলভাবে করছেন।