মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার লক্ষণ কী
মূত্রতন্ত্রে পাথর বিভিন্ন কারণে হয়। সাধারণত তীব্র ব্যথা, জ্বর—এগুলো দিয়েই এর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৩৮৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এন আই ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার লক্ষণ কী?
উত্তর : আসলে লক্ষণগুলো নির্ভর করে মূত্রতন্ত্রের পাথর কোথায় অবস্থিত, তার ওপর। এই পাথর যদি কিডনিতে থাকে এবং এটি থেকে যদি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে, তাহলে দেখা যাবে যে পাশে পাথর হচ্ছে, সে পাশে ব্যথা করছে। আবার পাথর যদি কিডনির নালিতে চলে আসে, তখন ছোট পাথর হলে সহজে বের হয়ে চলে যাবে। কিন্তু কিডনির নালির যতটুকু ব্যাসার্ধ, এর চেয়ে বড় আকারের পাথর হলে কিডনির নালিটা আটকা পড়বে। আটকা পড়লে তীব্র ব্যথা হবে। কিডনির নালি যদি ওপরের দিকে ব্যথা হয়, তখন পেছনের দিকে এবং পেটের সামনের দিকে ব্যথা আসতে পারে। কিডনির নালির নিচের দিকে যদি হয় ব্যথা, সে ক্ষেত্রেও পিঠের দিক থেকে পেটের দিকে ব্যথা আসতে পারে। ব্যথাটা যৌনাঙ্গের দিকেও যেতে পারে। যত ধরনের ব্যথা আছে, এর মধ্যে এটি তীব্র ব্যথা। ব্যথাটা হঠাৎ হবে, আবার কিছু সময়ের জন্য উপশম হবে, আবার তীব্র হবে। এই ব্যথার কারণে রোগীর বমি হতে পারে বা কোনো কিছু খেতে নাও পারতে পারে। পাশাপাশি কিডনির নালিতে সংক্রমণ হলে রোগীর জ্বর হতে পারে। যেহেতু কিডনির নালিতে পাথর, এটি নামার সময় কিডনির গায়ে কিছুটা ক্ষতের সৃষ্টি করে। এখান থেকে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তও যেতে পারে।
এক, ব্যথা হতে পারে; দুই, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে; তিন, সংক্রমণ হলে জ্বর আসতে পারে। এগুলো মোটামুটি কিডনির পাথর বা কিডনির নালির পাথরের উপসর্গ। এই উপসর্গগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।