রুটি বা পরোটার সাথে খান মুগডাল ভুনা
সকালের নাশতায় অনেকের পাতে থাকে মুগডাল ভুনা। রুটি বা পরোটার সাথে মুগডাল ভুনা খেতে ভারি মজা। আজ আমরা জানাব, কীভাবে বাসায় সহজে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মুগডাল ভুনা রান্না করবেন।
যাঁদের মসুর ডাল খেলে গ্যাস হয়, তাঁদের জন্য মুগডাল খুবই উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই মুগডাল পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পেটের সমস্যা হলে মুগডাল দেওয়া হতো। তবে যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে, ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাঁরা সপ্তাহে এক দিন মুগডাল খেতে পারেন। এতে তাঁর ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
এনটিভির রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান টেল প্লাস্টিকস রান্নাঘর-এর একটি পর্বে মুগডাল ভুনার রেসিপি দেওয়া হয়েছে। রেসিপিটি তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রীতা। খাবারের পুষ্টিগুণ বর্ণনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা। আসুন, আমরা জেনে নিই বাসায় সহজে মুগডাল ভুনা রান্নার পদ্ধতি। তার আগে চলুন দেখে নিই কী কী উপকরণ লাগবে—
উপকরণ
১. পরিমাণমতো তেল
২. এক টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি
৩. আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
৪. আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
৫. এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
৬. এক টেবিল চামচ জিরার গুঁড়ো
৭. স্বাদমতো লবণ
৮. পরিমাণমতো পানি
৯. এক টেবিল চামচ আদা বাটা
১০. এক কাপ সেদ্ধ মুগডাল
১১. এক টেবিল চামচ ঘি
১২. পরিমাণমতো পেঁয়াজ বেরেস্তা
১৩. এক টেবিল চামচ রসুন কিমা
১৪. দুটি তেজপাতা
১৫. দুটি লবঙ্গ
১৬. চারটি দারুচিনি
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ফ্রাইপ্যানে তেল দিন। এতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কিমা, তেজপাতা, লবঙ্গ ও দারুচিনি দিয়ে ভাজতে থাকুন। অন্য একটি বাটিতে মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো ও পানি দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে নিন।
এবার গোলানো মসলা ফ্রাইপ্যানে ঢেলে দিন। এতে সেদ্ধ মুগডাল, পানি ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। সবশেষে ঘি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মুগডাল ভুনা। এ রেসিপিটি সহজে প্রস্তুত করতে ও রন্ধন প্রণালি সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন।