মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করছেন তিন মন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাজ করার জন্য তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর র্যাব ও এ বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দপ্তর) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা র্যাবের অন্য কর্মকর্তারা হলেন— অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান এবং র্যাব-৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে তিনজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই এ বিষয়ে কথা বলছেন ও করণীয় নিয়ে কাজ করছেন।’
এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনে ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত এ আইনে।
সচিব বলেন, ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) আওতায় আট দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ১০ শতাংশ হচ্ছে। এ জন্য আজকের বৈঠকে ডি-৮ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্টের (পিটিএ) আওতায় অন্য সদস্য দেশগুলোর শুল্ক ছাড় দেওয়া পণ্য তালিকা ও সার্টিফিকেট অব অরিজিন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সচিব আরও বলেন, আটটি মুসলিম দেশ- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের সমন্বয়ে ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মধ্য দিয়ে ডি-৮ গঠন করা হয়েছিল। এখন ডি-৮-এর মধ্যে যতগুলো পণ্য আছে সেগুলোর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা হবে। তাহলে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এটি ওআইসির ৪১টি দেশের মধ্যে করা যায় কি না সেটা চিন্তাভাবনা আছে।