বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে রাতেও চলবে নৌযান
বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে এখন থেকে রাতেও চলবে নৌযান। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে সেখানে নাইট নেভিগেশনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আন্তর্জাতিক এ ক্যানেল দিয়ে কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল করার কথা।
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আনিসুজ্জামান রকি বলেন, ‘ক্যানেলটি উন্মুক্ত করার পর এ নৌপথে রাতে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বিআইডব্লিউটিএ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই নির্দেশনা আমার হাতে এসেছে।’
মো. আনসিুজ্জামান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তা কার্যকরে সংশ্লিষ্ট নৌ-ক্যানেলের ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ড্রেজার মালিকদের জানানো হয়েছে। নৌযান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ড্রেজারগুলোতে পর্যাপ্ত লাইট, বয়া ও রেড মার্ক স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর এই উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘ক্যানেলটিতে নাইট নেভিগেশনের কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএর নেভিগেশন বিভাগ।’
নাব্য সংকটের কারণে ক্যানেলটিতে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময়টিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মোংলা বন্দরে। বন্দর সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে ক্যানেলটি সচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পেয়ে বিআইডব্লিউটিএ ক্যানেলটির খনন কাজ শুরু করে।
এরপর ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্যানেলটি উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। সেই থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ক্যানেল দিয়ে শুধু দিনের বেলায় নৌযান চলাচল করেছিল।