কুরআন পোড়ানোর অভিযোগে পাকিস্তানে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
কুরআন মাজিদ অবমাননার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, যিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলার জঙ্গল ডেরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্তত ৮০ জনকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, কুরআন মাজিদ পোড়ানোর অভিযোগ ওঠার পর ওই ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করে ক্রুদ্ধ জনতা।
পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার হোসেন জানান, কর্মকর্তারা গিয়ে ৪০ এর কোঠার ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় একটি গাছে বাঁধা দেখতে পান।
‘গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা, কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে মেরে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে,’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন হোসেন।
স্থানীয় একটি পুলিশ স্টেশনের প্রধান মুনাওয়ার গুজ্জর বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘হতভাগ্য ওই ব্যক্তি গত ১৫ বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন।’
ওই ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং রোববার তার শেষকৃত্য হয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বরে পাকিস্তানের শিয়ালকোটেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে শ্রীলঙ্কার এক প্রকৌশলীকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার একই ধরনের নৃশংস ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তরফে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কেউ আইন হাতে তুলে নিলে বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।