ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার
ফরিদপুর শহর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদকে (২৫) তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় জেলা ছাত্রলীগ।
সজিব আহমেদ ফরিদপুর শহরের শোভারামপুর মহল্লার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে। সজিব সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিমুল রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সজিবকে অব্যাহিত দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদকে ‘ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক’ হিসেবে দায়িত্ব দেন।
তবে কোন অভিযোগে সজিবকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বলা হয়েছে, ‘ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদকে নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ শান্তকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।’
জানতে চাইলে শহর ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদ বলেন, ‘গত রোববার সন্ধ্যায় সাবেক সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের ৬৮তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া গ্রামে তাঁর (আব্দুর রহমান) বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই সভায় ঘোষণার বিষয় নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর সঙ্গে আমার বচসা হয়। এর জেরে মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐশিকার সঙ্গে আমার তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঐশিকা আমাকে ওই স্থান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং আমাকে বহিষ্কারের দাবি জানান।’
সজিব আহমেদ বলেন, ‘সহযোগী সংগঠনের এক নেত্রীর কথায় যদি আমাকে পদ হারাতে হয় এর থেকে দুঃখ ও কষ্টের আর কিছুই থাকতে পারে না।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিমুল রশিদ বলেন, ‘মেডিকেলের এক কর্মীর সঙ্গে সজিবের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানি। কিন্তু ঐশিকার সঙ্গে সজিবের তর্ক হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
‘কারো সুপারিশে বা দাবির কারণে সজিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি’ দাবি করে তানজিমুল রশিদ বলেন, ‘সজিব নিজেই পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন ঝামেলায় ছিলেন। এজন্য নিজেই অব্যাহতি চাইছিলেন। কেউ থাকতে না চাইলে তাকে জোর করে রাখা যায় না। তাই তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐশিকা বলেন, ‘সজিব আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে, এর জন্য সরি পর্যন্ত বলেননি। আমি তাকে বহিষ্কার করতে বলিনি। আমি তা বলবো কেন। সজিবই বলেছিলেন, তিনি আর ছাত্রলীগ করবেন না।’