এখন যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করতে সক্ষম
জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশন দাবি করেছে, সফলভাবেই তাদের দেশ হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এখন তারা পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে সক্ষম!
বুধবার উত্তর কোরিয়ার মিশন এ দাবি করেছে। তারা আরো বলেছে, পরীক্ষাটির মাধ্যমে ছোট আকারের হাইড্রোজেন বোমার শক্তির বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই সংশয় প্রকাশ করে আসছিল যে উত্তর কোরিয়া সত্যিই কোনো হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল কি না।
গত ৬ জানুয়ারি হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের এক ঘোষণায় দাবি করা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ওই ঘোষণায় আরো বলা হয়, এর মাধ্যমে বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর উন্নত দেশগুলোর কাতারে পৌঁছেছে উত্তর কোরিয়া।
বোমা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। হাইড্রোজেন বোমা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশের পরিপন্থী বলে দাবি করে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, বোমা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।
হাইড্রোজেন বা থার্মোনিউক্লিয়ার বোমায় ফিউশন বিক্রিয়ার কারণে যে বিস্ফোরণ ঘটে, তা ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়ামের ফিশন বিক্রিয়ার চেয়েও শক্তিশালী।
এর আগে গত মাসেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দাবি করেন, তাঁরা হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ওই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একইভাবে আজকের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
বুধবার জাতিসংঘে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল। এতে জানানো হয়ে, ৬ জানুয়ারির পরীক্ষাটি কোনো হুমকি নয়। কাউকে প্ররোচনা দিতেও চান না তাঁরা। উত্তর কোরিয়া এখন পরমাণু শক্তিধর দেশ, সেই বার্তাটিই দিতে চাওয়া হয়েছে। আর বলতে চাওয়া হয়েছে, এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিতে সক্ষম।
রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘হাইড্রোজেন বোমা ফাটানোর জন্য উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছেন উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা...। একমুহূর্তে গোটা আমেরিকাকে উড়িয়ে দিতে পারেন তাঁরা।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক কূটনীতিক বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন।