দোকানপাট বন্ধের সময়সীমা জানিয়ে দিল ডিএসসিসি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার কোন প্রতিষ্ঠান কখন বন্ধ থাকবে তা নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংস্থাটি। আজ সোমবার দেশের জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় ডিএসসিসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত ১৬ জুন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএসসিসি এলাকার সব দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এতে ডিএসসিসি এলাকায় শৃঙ্খলা আসবে এবং ঢাকা শহর পরিচালনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা তৈরি হবে।
তবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা দোকান বন্ধের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিএসসিসি। এর মধ্যে সব দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সব ধরনের খাবারের দোকান বা রেস্তোরাঁর রান্নাঘর বন্ধ করতে হবে রাত ১০টার মধ্যে। আর খাবার সরবরাহ (পার্সেল) চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সাধারণ ওষুধের দোকান বন্ধ করতে হবে রাত ১২টার মধ্যে। আর হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান বন্ধ করতে হবে রাত ২টার মধ্যে। এদিকে আগামী বুধবার থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরও ইফেক্টিভ করা যায় এই মুহূর্তে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইনস্ট্যান্টলি তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। সেজন্য আলোচনা হয়েছে কতগুলো।
এর আগে গত ১৯ জুলাই থেকে সারা দেশে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৮ জুলাই সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ওইদিন বলেন, আমরা এক সপ্তাহ এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি দেখবো। এভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না গেলে পরে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।