বরিশালে ঈদ জামাতে মহামারি থেকে রক্ষার প্রার্থনা
বরিশালে যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের প্রধান জামাত নগরের বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দীন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে শুরু হয়। জামাতে অনাবৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সব মহামারি থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঈদের জামায়াত শুরু হয়। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া করেছেন মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সব মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান বলেন, ‘এবারের ঈদ খুবই সুন্দরভাবে মানুষ পালন করছে। মানুষ স্বস্তিতে নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরেছে। ঈদের এ ছুটিতে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’
বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘দেশ বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এখানে আরও নামাজ আদায় করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কে এম জাহাঙ্গীর, বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ সাঈদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা।
এছাড়া নগরের দ্বিতীয় প্রধান জামাত শুরু হয় আমতলা মোড় এলাকার বরিশাল সদর মডেল মসজিদে। এখানে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়।
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফে সকাল সাড়ে ৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল ৮টায় ঈদের বৃহত্তম জামাত শুরু হয়।
নামাজ শেষে পরস্পরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা। প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও নগরের এবং জেলার প্রায় সব মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।