আছে স্ত্রী-সন্তান, তবুও হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি
এক-দুজন না, আট-আটটি পুরুষ। তাদের কয়েকজনের আছে স্ত্রী, আছে সন্তানও। তারপরও হিজড়া সেজে করে চাঁদাবাজি। এমন অভিযোগে অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। এদের কারও বাড়ি লক্ষ্মীপুর, কারও সিরাজগঞ্জ, পাবনায়। কাউকে আবার আনা হয়েছে ময়মনসিংহ থেকে।
আজ শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মিরপুর মডেল থানার টেকনিক্যাল মোড় এলাকা থেকে হিজরার বেশে থাকা আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—হোসেন ওরফে শিলা (২৭), মো. হৃদয় ওরফে পিয়া (১৮), আমিনুল ইসলাম ওরফে ঐশী (২১), সাইফুল ইসলাম ওরফে জয়া (২৭), ইয়াহিয়া ওরফে মৌরি (৩০), নয়ন ওরফে নিশি (২০), বেলাল ওরফে কেয়া (২৮) ও মিজানুর রহমান ওরফে চায়না (২০)।
মোহাম্মদ মহাসীন বলেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনিক্যাল মোড়ে তাওহীদ আলী নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর গতিরোধ করে টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ধস্তাধস্তি করে তার কাছ থেকে ২০০ টাকা কেড়ে নেন। পরবর্তীতে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
মোহাম্মদ মহাসীন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই হিজড়া সেজে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছেন। পাপ্পু হিজড়া তাদের গুরুমাতা হিসেবে আছে। এই পাপ্পু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের ঢাকায় আনেন। আর হিজড়া সাজিয়ে চাঁদাবাজি করান। বিনিময়ে প্রতিজনকে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে দিতে হয়।