১৯ কেন্দ্রে ভোট না পড়লেও ক্ষমতাসীনদের লজ্জা নেই : সমমনা জোট
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, সারাদেশের মানুষ ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। ভোটারশূন্য ছিল ভোটকেন্দ্রগুলো। দেশ-বিদেশ তা প্রত্যক্ষ করেছে। অথচ, আজ্ঞাবহ ইসি সরকারের নির্দেশে পাঁচ শতাংশ ভোটার উপস্থিতিতে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ৪০ শতাংশ দেখিয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের ১৯টি কেন্দ্রে কোনো ভোটই পড়েনি, এতেও ক্ষমতাসীনদের কোনো লজ্জা হয় না।’
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ কথা বলেন।
ড. ফরহাদ বলেন, ‘দেশের ১৯টি কেন্দ্রে কোনো ভোটই পড়েনি, এতেও ক্ষমতাসীনদের কোনো লজ্জা হয় না। জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।’
ফরহাদ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে এই সরকার এমনভাবে নিষ্পেষিত করেছে যার কারণে নতুন প্রজন্ম গণতন্ত্র কী জিনিস, তাই জানে না। নতুন প্রজন্ম দেশে গণতন্ত্র না দেখতে পারলেও দেখেছে একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি, লুটতরাজ ও দমন-পীড়ন। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে সকলকে রাজপথে নামতে হবে।’
এর আগে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন-বিজয়নগর ঘুরে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
কালো পতাকা মিছিলে এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন শিল্পী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বিকল্পধারা মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল ও মাহবুব মুরশেদ হেলাল, এনডিপি মহাসচিব আব্দুল্লা আল হারুন সোহেল, এনপিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, ফখরুল ইসলামসহ জোট নেতারা অংশ নেন।