সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে : ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে। তাই সব রাজনৈতিক দলকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি মো. আলমগীর এ কথা বলেন।
আলমগীর বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধিতে কিছু কিছু অসংগতি ও অস্পষ্টতা আছে। সংশোধনের জন্য পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। যাদের জনসমর্থন আছে, তারাই উপজেলা ভোটে অংশ নেবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৪ মে হবে। ১১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোট। ১৮ মে তৃতীয় ও ২৫ মে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে।
সারা দেশে উপজেলা পরিষদ আছে ৪৯৫টি। সাধারণত সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন করা হয় না। একাধিক ধাপে এই নির্বাচন করা হয়। আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।
এখন ৪৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপযোগী হয়ে আছে। জুনের মধ্যে এসব উপজেলায় নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে অল্প কিছু বাদে প্রায় সব কটি উপজেলা নির্বাচন উপযোগী হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হবে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। ১১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। সাধারণত এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা এবং রমজান মাসে নির্বাচন হয় না। অন্যদিকে মে-জুন থেকে শুরু হবে বর্ষাকাল। সব মিলিয়ে আগামী মে মাসে ধাপে ধাপে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।
২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের মার্চ থেকে শুরু হয়ে পাঁচ ধাপে ৪৫৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শেষ হয়েছিল জুনে। এর মধ্যে মার্চেই চারটি ধাপের ভোট হয়েছিল। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট হয় দলীয় প্রতীকে। বিএনপির এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এবার দলীয়ভাবে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ভাবছে। এটি হলে এবারের স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচন হবে নির্দলীয়।