কার্গো বিমান অবতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দ্রুতই
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের কার্গো বিমান অবতরণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আজ বৃহস্পতিবারের (৩১ মার্চ) মধ্যে প্রত্যাহার না হলেও ‘ফিডব্যাক’ (প্রতিক্রিয়া) ভালো বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য কার্গো বিমান অবতরণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, আমরা তা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা আমাদের কাজের অগ্রগতি তাদের জানাচ্ছি। এখন আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এ লক্ষ্যে আমরা আরো কাজ করছি। এগুলো আমরা সময়ে সময়ে তাদের অবহিত করেছি। তারা পজিটিভলি রেসপন্স (ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া) করছে।’
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মন্ত্রী আগে বলেছিলেন ৩১ মার্চের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে তাদের (যুক্তরাজ্য) সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপ এবং তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমি বলেছিলাম, ৩১ মার্চের মধ্যে প্রত্যাহার হবে। এখন আমি আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।’
ব্রিফিংয়ের আগে মন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালেন ভার্সিন বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই সন্তুষ্ট নয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন উপায় অবলম্বন করছে। আমরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছি, তা তাদের কাছে তুলে ধরেছি।’
১৫ মার্চ যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। এর পর থেকে বাংলাদেশের পণ্যবাহী কার্গো বিমান সরাসরি অবতরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।