পুলিশ কর্মকর্তা সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সোহেল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এই আদেশ দেন। ওই আদালতে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন সোহেল উদ্দিন এর সাবেক স্ত্রী রিফাত জাহান। সোহেল উদ্দিন কুড়িগ্রামের রৌমারী পুলিশ সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী আনোয়রুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, রিফাত জাহানের সঙ্গে ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল সোহেল উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সোহেল উদ্দিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করলে রিফাত তার স্বামীর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। সোহেল উদ্দিন এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিফাতকে তালাক দেন। কিন্তু, জালিয়াতির মাধ্যমে ডাক রশিদ বানিয়ে সোহেল উদ্দিন রিফাতকে তালাকের নোটিশ পাঠালে রিফাত জালিয়াতির আরেকটা মামলা করেন। এ ছাড়া রিফাতকে মারধরের অভিযোগে সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন রিফাত।
গত ২৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে রিফাতকে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করতে বলেন। এ সময় তিনি জানান, মামলাগুলো প্রত্যাহার করলে তিনি ওদিনই রিফাতকে বিয়ে করবেন। এ সময় সোহেল উদ্দিন রিফাতকে একটি বিয়ের শাড়ি দেন। রিফাত আসামি সোহেল উদ্দিনের কথা বিশ্বাস করে মামলা তিনটি তিন আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নেন। মামলা প্রত্যাহারের পর সোহেল উদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অঙ্গন থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তিনি আর রিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।