অবশেষে লুইসকে ফেরালেন রিশাদ
লক্ষ্যটা মাত্র ২২৮ রানের, আর এত সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ক্যারিবীয়রা। ১১৪ বলে দুই ওপেনার পূরণ করেন দলীয় শতক। অবশ্য রিশাদ ফেরালেন লুইসকে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬২ বলে ৪৯ রান।
উইন্ডিজের উড়ন্ত শুরু, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ
বাজে ব্যাটিংয়ের পর এবার বল হাতে ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। উইন্ডিজ ওপেনিং জুটিকে কিছুতেই থামাতে পারছে না বাংলাদেশ। দারুণ জুটি গড়ে এগোচ্ছেন কিং-লুইস। দুজনে এরইমধ্যে গড়েছেন ৮০ রানের জুটি। অবশ্য দলীয় ৭৫ রানের সময় সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, সৌম্য সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কায় ওড়ানোর পর পুনরাবৃত্তির চেষ্টায় লং অনে ক্যাচ দেন এভিন লুইস। ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে হাত ছোঁয়ালেও মুঠোয় রাখতে পারেননি সৌম্য। সে সময় ২৮ রানে ছিলেন লুইস। জুটির রান ছিল ৭৫।
ব্যাট হাতে ভালো শুরু উইন্ডিজের
বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ ছাপিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বোলারদের নৈপুণ্যে মাঝারি লক্ষ্য পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করেছে দলটির ওপেনাররা। প্রথম ১৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
মাহমুদউল্লাহ-তানজিমের ব্যাটে মাঝারি পুঁজি বাংলাদেশের
৮ বলে ১৫ রান করে রোমারিও শেফার্ডের ডেলিভারিতে শরিফুল ইসলাম ক্যাচ দিলেন গুদাকেশ মোতির হাতে। এতে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৫.৫ ওভারে তারা অলআউট হলো ২২৭ রানে।
১১৫ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের পুঁজি দুইশ ছাড়ায় অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও নয়ে নামা তানজিম হাসান সাকিবের ব্যাটে। ওয়ানডেতে দেশের পক্ষে অষ্টম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ৯২ রান যোগ করেন তারা। মাহমুদউল্লাহ ৯২ বলে ৬২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। তানজিম চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৬২ বলে করেন ৪৫ রান। এছাড়া, ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম খেলেন ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার জেডেন সিলস। ডানহাতি পেসার ৯ ওভারে একটি মেডেনসহ খরচ করেন মাত্র ২২ রান। বাঁহাতি স্পিনার মোতি ২ উইকেট পান ৩৬ রানে।